স্টাফ রিপোর্টার, নব আলো
প্রকাশিতঃ ২৮ মার্চ ২০১৯ ১১:১০:০৭ পূর্বাহ্ন
পোড়া ভবন থেকে বের হতে থাকে একের পর এক লাশ 

নব আলো : সন্ধ্যার পর থেকে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে উদ্ধার হতে থাকে একের পর এক লাশ।  

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুপুর একট থেকে  টানা ১০ ঘন্টা উদ্ধার অভিযানের পর বৃস্পতিবার রাত ১০টায় প্রথম দফার অভিযান স্থগিত করা হয়। শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করবেন সমন্বিত টিম।

আগুন লাগার পর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান চালায়। আর ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন। 

এদিকে বাংলাদেশের ভবনে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের খবর ফলাও করে প্রচার হয় বিবিসি, রয়টার্স  সিএনএন ও আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম। 
 
জানা গেছে বনানীর সেই ভবনটিতে দ্যা ওয়েভ গ্রুপ, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ছাড়াও অর্ধশতাধিক অফিস রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে  বনানীর এফআর ভবনের আগুনে  ৭০ জন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

নিহতরা হলেন, শ্রীলঙ্কান নাগরিক নিরস (কুর্মিটোলা হাসপাতাল), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালুগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭) বনানী ক্লিনিক, দিনাজপুর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (ইউনাইটেড হাসপাতাল, আমিনা ইয়াসমিন (৪০) (এ্যাপোলো হাসপাতাল), আবদুল্লাহ ফারুক (ঢাকা মেডিকেল), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)। পরবর্তীতে ওই ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া বাকিদের নাম জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের ওই ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।

এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিটও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা ভেতরে অবস্থান করছেন।

ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান।

আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় এমপি আকবর হোসেন পাঠান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছেন।

 


প্রকাশকঃ- মোঃ সাইদুল ইসলাম রেজা

মিরপুর ১০ ,ঢাকা-১২১৬, ইমেইলঃ news.muktobani@gmail.com টেকনিকালঃ 01511 100004, নিউজ রুমঃ 01552 601805