স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিতঃ ০৯ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
এটা কিভাবে সম্ভব?

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মাত্র পাঁচ মাস বয়সী জমজ দুই কন্যাশিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাদের মা শান্তা বেগমের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে স্বামীকে দোষারোপ করলেও শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়ে নিজে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকার করেছেন তিনি।


বুধবার (০৯ জুলাই) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মুন্সিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শান্তা।

পুলিশ জানিয়েছে, শান্তা বেগম ও মো. সোহাগ শেখের বিয়ে হয় দুই বছর আগে। এরপর থেকে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। বিয়ের কিছুদিন পর গর্ভবতী হন শান্তা। গর্ভাবস্থায় তিনি অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতে কাটান। সেখানে জমজ কন্যা সন্তান লামিয়া ও সামিয়ার জন্মের পর প্রায় দুই মাস আগে স্বামীর বাড়িতে ফেরেন শান্তা। এরপর অভাব-অনটনের কারণে পারিবারিক কলহ আরও তীব্র হয়।

শান্তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাক দিয়ে পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে শান্তা তার স্বামী সোহাগকে শিশুদের জন্য দুধ, ওষুধ এবং কিছু খাবার আনতে বলেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ফোনে তীব্র ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর রাত সাড়ে সাতটার দিকে শান্তা ঘুমন্ত অবস্থায় তার দুই কন্যাশিশুকে কোলে নিয়ে ঘরের মধ্যে হাঁটতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রথমে লামিয়াকে ঘরের উত্তর পাশের দরজা দিয়ে পুকুরে ফেলে দেন। এরপর একইভাবে সামিয়াকেও ফেলে দেন।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য আড়াল করে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার লোকজনদেরকে তার স্বামী হত্যা করেছে বলে দাবি করেন শান্তা। পরবর্তীতে তিনি পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার দেখানো মতে পুকুর থেকে বাচ্চার সঙ্গে ফেলা কাপড়সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। 


প্রকাশকঃ- মোঃ সাইদুল ইসলাম রেজা

মিরপুর ১০ ,ঢাকা-১২১৬, ইমেইলঃ news.muktobani@gmail.com টেকনিকালঃ 01511 100004, নিউজ রুমঃ 01552 601805