আর্কাইভ | ঢাকা, শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ ০৭:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক আজ শুধু নির্বাচন নয়, আরও অনেক বিষয়ে কথা বলবে বিএনপি * লালপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন * শেখ হাসিনা, রেহানা, টিউলিপ, রাদওয়ানসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা * আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সবার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক * ডলার ইনডেক্সের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন * পহেলা বৈশাখে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক * টাস্কফোর্সের সভা আজ শেখ পরিবারসহ ১১ শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে বিপুল সম্পদের খোঁজ * যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে নতুনধারার গণস্বাক্ষর ও উঠান বৈঠক * ভারত থেকে এলো ৩৬ হাজার টন চাল * পহেলা বৈশাখে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা * তথ্য উপদেষ্টার সাথে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ * ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাকা * আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “মার্চ ফর গাজা” * স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আধা মণ দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর * পহেলা বৈশাখে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো স্টেশন * ফিলিস্তিনকে ফ্রান্সের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলল হামাস * এক্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের নতুন নিয়ম, যা মানতে হবে ব্যবহারকারীদের * গাজায় ঢুকছে না ত্রাণবাহী গাড়ি, অনাহারে-মৃত্যু * মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই বোনের * বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেট কৌশলে আবারো বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম
Photo
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, প্রকাশিতঃ
২৩ জুলাই ২০২৫
০৯:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
                       

দুইহাত জোড় করে বলছি ভুল তথ্য ছড়াবেন না


রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সেদিন বেঁচে ফেরা স্কুলেরই এক শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস। তিনি বলেন, আপনাদেরকে দুইহাত জোর করে বলছি ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলাম। গতকাল বুধবার সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে পূর্ণিমা দাস এ অনুরোধ করেন।

মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের এই শিক্ষিকা বিমান বিধ্বস্তের সময় নিজেও আগুনে আটকা পড়েছিলেন। পূর্ণিমা দাস লিখেছেন, ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না।’ লাশ নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন সেই শিক্ষিকা।  

শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাসের পোস্টটি এভাবে,  ‘আমি মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা। আপনাদের দুইহাত জোড় করে বলছি ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলাম আমার চেয়ে আপনারা ফেসবুকবাসী বেশি জানবেন না তাই না? স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায়, আমি ঠিক তার এক থেকে দুই মিনিটে স্কাই সেকশনে ঢুকে দেখি ওখানে শুধু একটা বাচ্চা দাঁড়ানো। কেউ ছিল না, সবাই চলে গিয়েছিল। আপনারা জানেন না ছুটির সময় হলে বাচ্চারা তিন চার মিনিট আগে থেকেই কীভাবে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য এবং আমি চলে আসার পর অভিভাবক আসেনি বলে আবার স্কাই এ কিছু বাচ্চা ঢুকেছিল তাদেরকেও আমাদের আরেকজন টিচার ক্লাস থেকে নিয়ে অন্য সেকশনে বসায়। এরপরেও আবার কয়েকজন (৫ -৬ জন) ঢুকেছিল তাদেরকেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি- যারা করিডোরে, দোলনায় খেলছিল বা সিঁড়িঘরে ছোটাছুটি করছিল বা ওই মুহূর্তে ওই জায়গায় কাকতালীয় ভাবে ছিল। 

(এদের সংখ্যা অনিশ্চিত)। এরপর আসেন (ক্লাউড), এ ওখানে বাচ্চার সংখ্যা (৮-১০) স্কাই-এর চেয়ে বেশি ছিল। আমার ধারণা মাহরিন মিস, মাসুকা মিস ও মাহ্ফুজা মিস ওখান থেকেই বাচ্চা বের করার চেষ্টা করছিলেন এবং তাদের বের করতে করতে নিজেরা ঝলসে যান। যার মধ্যে মাহরিন মিস এবং মাসুকা মিসকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। মাহফুজা মিসের অবস্থা এখন গুরুতর তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন। ওনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। (ক্লাউড) এর পাশের রুম (ময়না) এখানে কিছু বাচ্চা ইনজিউরড, কেউ মারা যায়নি। সধুহধ (ময়না) এর পাশে (দোয়েল) এই ক্লাসের একটা বাচ্চা আর নেই। (দোয়েল) এর পাশে (রজনীগন্ধা) এবং (শাপলা) এখানেও সবাই সেফ আছে। দ্বিতীয় তলার বাচ্চাদেরও ঘটনা একই। দুটি ক্লাসরুম একটা টিচার্স রুম পুড়েছে। ওখানেও ১৫-২০ জন ছিলেন। হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারবো না। অনুমান করাও কঠিন। তার মধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এরমধ্যে আছে ওখানকার আয়া রাও। এখান থেকেই বেশিরভাগ আহত। আহতের সংখ্যাও ঠিকভাবে বলা যায় না। তাই ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আপনারা যত মৃতের সংখ্যা বলছেন সেটা একেবারে সম্ভব না। তার মধ্যে আমরা যারা দুই কর্নারে ছিলাম তারা তো অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছি। আর লাশ গুম করার কথা যারা বললেন, আপনাদের কতখানি মাথায় সমস্যা আমার জানা নেই। কারণ একটা বাচ্চা যাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি তার লাশটাতো অন্তত আমরা তার বাবা মায়ের কাছে পৌঁছানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। তাই না? আমরা টিচার, রাজনীতিবিদ নই।

আপনাদের কোনো ধারণা নেই, এই শিক্ষক শিক্ষিকারা কীভাবে বাচ্চাদেরকে সারাদিন আগলে রাখেন। ছুটি হওয়ার সময় মাহরিন মিস গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিদিন বাচ্চাদেরকে অভিভাবকদের হাতে বুঝিয়ে দেন। যতক্ষণ একটা বাচ্চারও অভিভাবক থাকে উনি গেট থেকে নড়েন না। তাই হাত জোড় করে বলছি। ভুল তথ্য ছড়াবেন না। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না। নিহতের সংখ্যা সামনে বাড়বে আপনাদের বাড়াতে হবে না। আসেন আমরা প্রার্থনা করি প্রতিটা ফুলের জন্য যারা অকালে ঝরে গেল। আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকা স্টাফ আর ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর জন্য আসেন আজ প্রার্থনা করি।   

সংবাদটি পঠিতঃ ৮২ বার


নির্বাহী সম্পাদকঃ আয়শা ছিদ্দিকা মনি

প্রকাশকঃ- মোঃ সাইদুল ইসলাম রেজা

মিরপুর ১০ ,ঢাকা-১২১৬, ইমেইলঃ news.muktobani@gmail.com টেকনিকালঃ 01511 100004, নিউজ রুমঃ 01552 601805

Design & Developed By IFTI IT