ব্রেকিং নিউজঃ |
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ধানাধীন পালট গ্রামে অবস্থিত পালট পোস্ট অফিস। এই পোস্ট অফিস থেকে ৫নং বড়ইয়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সেবা পায়। এই এলাকায় আছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, দুটি উচ্চবিদ্যালয়, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি আলিয়া মাদ্রাসা ও একটি কওমি মাদ্রাসা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিঠি আসে এই পোস্ট অফিস দিয়ে। গুরুত্বের কথা বিবেচনা করলে এই পোস্ট অফিসটির অপরিসীম।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, পোস্ট অফিসের সামনে চা পানের দোকান বিষয়টি হাস্যকর। কোনো সরকারি দপ্তরের সামনে এমন স্থাপনা এভাবে চলতে পারে না। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ইয়াকুব আলী (ছদ্দ নাম) নামে স্থানীয় এক বাসিন্ধা বলেন, আগে ওই পোস্ট অফিসটি বড়ইয়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ি ছিল। এই পোস্ট অফিসটি গত ১২-১৩ ইং অর্থবছরে পালট গ্রামে স্থানন্তর হয়ে পাকা ভবনে নির্মিত হয়। এর কিছু দিন পরেই পোস্ট অফিসের সামনে জুড়ে মোঃ নেচাহার শরিফ গড়ে তোলেন ১টি চায়ের দোকান। যা পোস্ট অফিসের অর্ধেকটাই ঢেকে রেখেছে, ঘরটি নির্মানের সময় পোস্ট মাষ্টার মোঃ মহারাজ আকন বাধা দিলে তার বাধার তোয়াক্কা না করে তার ক্ষমতার জোড়েই ঘরটি নির্মান করেন।
এই দোকান ঘরটির জন্য যে এখানে পোস্ট অফিস আছে তা সাধারন মানুষের চোখের অন্তরালেই থেকে যায়। দোকন ঘরটি পোস্ট অফিসকে এমন ভাবে ঘিরে রয়েছে যে ঢুকতে সাধারন মানুষকে পরতে হয় ভোগান্তিতে। দোকান ঘরের টিনের ছাউনি থেকে পানি পরে পোস্ট অফিসের দেয়ালটি শেওলা পরে নষ্টের উপক্রম প্রায়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রভাতী নিউজে সংবাদটি প্রকাশিত হলে বিষয়টি ঝালকাঠি হেড পোষ্ট অফিসের দৃষ্টিগোচর হয়। হেড পোষ্ট অফিস থেকে একটি পর্যবেক্ষক টিম এসে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং চায়ের দোকানদার মো. নেচাহার শরিফকে মৌখিক ভাবে নোটিশ প্রদান করেন, দোকান সরানোর জন্য ৭দিন সময় বেধে দিয়ে যান অথচ হেড পোষ্ট অফিসের বাধা নিষেদের কোন তোয়াক্কা না করে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে দোকান।
পোস্ট মাষ্টার মোঃ মহারাজ আকনের সাথে কথা বল্লে তিনি প্রভাতী নিউজকে জানান যে, আগামি বৃষ্টির আগে যদি দোকানটি স্থানান্তর না করা হয় তবে নষ্ট হবে সরকারি সম্পদ, জনগন হারাবে স্থানীয় সুযোগ সুবিধা। তাই তিনি বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ রক্ষার্থে আইনি সহায়তা চেয়ে প্রভাতী নিউজের মাধ্যমে আবেদন জানান।
প্রভাতী নিউজ / জি এস
সংবাদটি পঠিতঃ ১৬১ বার