ব্রেকিং নিউজঃ |
খেজুর রস উৎপাদন ও পাটালি গুড় তৈরিতে নাটোরের সুনাম দেশজুড়ে। তুলনামূলক লাভজনক ও চাষ পদ্ধতি সহজ হওয়ায় খেজুর গাছ লাগানোয় এগিয়ে এসেছে অনেকে। এছাড়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নাটোরের পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এসেও খেজুর গাছ বর্গা নিয়ে রস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক চাষি।
নাটোরের লালপুর, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, নলডাঙ্গা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপকভাবে খেজুর গুড় তৈরি করা হয়। এ গুড়ের খ্যাতিও রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় চিনিকলের চিটাগুড় এবং চিনির সঙ্গে চুন, ফিটকিরি ও ডালডাসহ নানা ক্ষতিকর উপাদান মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড়।
এসব গুড় খেয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। লালপুর ও বাগাতিপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, গুড়ের সৌন্দর্য বাড়াতে রসের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হাইড্রোজ, সরিষার তেল ও খাবার সোডা। এছাড়া রস পরিষ্কার করতে দেওয়া হচ্ছে বন ঢেড়সের নির্যাস, ফিটকিরি ও পাথর চুন। গত সপ্তাহে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর র্যাবের সহযোগিতায় লালপুর উপজেলার চর জাজিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজিম গুড় ভান্ডার থেকে দুই হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্ধ করে।
এ সময় গুড়ের সঙ্গে মেশানোর জন্য রাখা ৫০ কেজি চুন, ৫ কেজি ফিটকিরি ও ১০ কেজি ডালডা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। পরে নাজিম গুড় ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী নাজিম উদ্দিন নাজিমকে খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণের অপরাধে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর দুদিন আগে লালপুরের বালিতিতা ইসলামপুর ও মোহরকয়া এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় সাড়ে চার হাজার কেজি ভেজাল গুড়, গুড় তৈরির জন্য রাখা সাড়ে সাত হাজার লিটার তরল চিনি, তিন কেজি চুন, দুই কেজি ফিটকিরি, সাত কেজি হাইড্রোজ ও তিন লিটার টেক্সটাইল রং জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এ সময় মেসার্স সাগর গুড় কারখানার মালিক মো. সাগর হোসেন, মেসার্স মহসিন গুড় কারখানার মালিক মহসিন ও মেসার্স সেলিম গুড় কারখানার মালিক সেলিম রেজাকে এক লাখ নব্বই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংবাদটি পঠিতঃ ১৭৫ বার